Saturday, December 29, 2018

একজন আদর্শ জননীকে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলোর প্রতি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে




  • মা সন্তানকে যে আদর্শে বড় করতে চান প্রথমে তাঁকে সে আদশে গড়ে উঠতে হবে।
  • সর্বদা সন্তানদেরকে আল্লাহর ভয় দেখাবে।
  • সন্তানের সাথে মায়ের সম্পর্ক নীবিড় হওয়া উচিত। মাকে সন্তান যেমন শ্রদ্ধা-সম্মান দেখাবে, তেমনি মায়েরও উচিত সন্তানের ব্যক্তিত্বের প্রতি লক্ষ্য রাখা।
  • ছেলে-মেয়েদেরকে ইসলামী সহীহ আকিদা শেখাবে।
  • ছেলে-মেয়েদের নিদ্রা ও জাগ্রত অবস্থা সম্পর্কে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
  • খারাপ বস্তুর প্রতি দৃষ্টিপাত থেকে সন্তান হেফাজত করতে হবে।
  • ছেলে-মেয়েদের উপস্থিতিতে কখনো স্বামীর সাথে তর্ক-বিতর্ক বা ঝগড়া করবে না।
  • ঘরে কোন কুকুর অথবা খারাপ ছবি ঝুলিয়ে রাখা যাবে না।
  • মাঝে মাঝে সন্তানদের নিয়ে চরিত্রগঠনমূলক সত্য ও উন্নত কাহিনীর মাধ্যমে গল্প করবে।
  • ছেলেদেরকে বাবা, ভাই অথবা বন্ধুদের সাথে পাঁচওয়াক্ত নামাজে মসজিদে পাঠাবে।
  • স্নেহ, মমতা, আদর ও ভালবাসা আদান-প্রদানের জন্য সময় নির্ধারণ করে তাদের নিয়ে বসবে। এ ব্যাপারে কোনো ভাবেই অবহেলা করা যাবে না।

  • বিভিন্ন ব্যাপারে পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে পরস্পরের মধ্যে মত-বিনিময় হওয়া উচিত। অনেক মা আছেন, যিনি নিজের সন্তান বলে, কিংবা ছোট্টবেলা থেকে বড়ো করে তুলেছেন বলে সন্তানকে বড়ো ভাবতে নারাজ। কেবল নারাজই নন, বরং কখনো কখনো এমনও বলে বসেন ‘‘সেদিনের ছেলে তুই,কী আর জানিস” “বড়দের ব্যাপারে নাক গলাবেনা” ইত্যাদি। এরকম আচরণের ফলে সন্তানের ব্যক্তিত্বে আঘাত লাগে। পরিণতিতে মাকে সে অশ্রদ্ধা করে বসতে পারে। অথচ উচিত হলো, সন্তানের ব্যক্তিত্ব-বিকাশে মায়ের আচরণে ছেলের যেন সন্তুষ্টি অর্জিত হয়। এ বয়সটা সন্তানের চিন্তার স্বাধীনতা ও ব্যক্তিত্ব গঠনের বয়স।
  • সন্তান যত ছোটই হোকনা কেন, সেও কিন্তু পরিপূর্ণ একটি মানুষ। তার বোধ-বুদ্ধি, মেধা-মনন, চিন্তা ও বিবেক এবং স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব রয়েছে । তার ঐ ব্যক্তিত্ব তথা সত্ত্বাকে কোনভাবেই খাটো করে দেখা ঠিক নয়। সন্তানের ব্যক্তিত্বকে খর্ব করা হলে সন্তানও মায়ের ব্যক্তিত্ব খর্ব করতে দ্বিধা করবে না। ফলে সন্তান হয়ে যাবে মায়ের অবাধ্য।
  • মাকে এমনভাবে পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, যাতে সন্তান ধর্মীয় বিধি-বিধান, আইন-অনুশাসন পুরো মেনে চলে। সন্তানের সকল সঙ্গতি-অসঙ্গতির ব্যাপারে প্রথমতঃ মা-ই দায়ী। ফলে সন্তানের পরিশুদ্ধি, ধর্মের অনুশীলন ইত্যাদির ব্যাপারে প্রথমে মাকেই পরিশুদ্ধ হতে হবে, তাকে ধর্ম চর্চা করতে হবে। মা যদি ধর্মীয় ব্যাপারে উদাসীন হন তাহলে সন্তান কিছুতেই এ ব্যাপারে মায়ের নির্দেশ মানবে না। তাই মায়ের মধ্যে ধর্মীয় ব্যাপারে কোন ত্রুটি থাকলে দ্রুত তা ঠিক করে ফেলা উচিত। নিজেরা ত্রুটিমুক্ত হলে সন্তানও ত্রুটিমুক্ত হবে। আর এটা তো খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার যে, মা যা করে না, তা সন্তানকে করতে বললে সন্তান সাথে সাথেই প্রতিক্রিয়া দেখাবে। সন্তানের এই প্রতিক্রিয়া দেখানো থেকে মুক্ত থাকা প্রত্যেক মায়ের কর্তব্য। কারণ এই প্রতিক্রিয়া না সন্তানের জন্যে মঙ্গলজনক, না মায়ের জন্য।


  • মায়ের উচিত সন্তানের সাথে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তোলা। তাদের সাথে আচার আচরণ, কথাবার্তা, চলাফেরায় সচেতন ও সতর্ক হওয়া। আর এই সচেতনতার জন্যে মাকে সন্তানের ব্যাপারে মনোযোগী হতে হবে। সন্তানের মন-মানসিকতা বুঝতে হবে। তাদের চাহিদাগুলো পূরনের ব্যাপারে আন্তরিক হতে হবে। তাদের ব্যক্তিত্বকে সম্মানের সাথে দেখতে হবে। তবেই সন্তানও মাকে শ্রদ্ধা করবে, তাঁর প্রতি নির্ভরতা, বিশ্বাস ও আস্থা স্থাপন করবে। নিজের মনের কথা, সমস্যা, চাওয়া-পাওয়া ইত্যাদি সকল ব্যাপারে মায়ের সাথে আলাপ আলোচনা করবে, পরামর্শ করবে ।
মহান আল্লাহ আমাদের সমাজের সকল মা জননীকে ইসলামী আদর্শ সমুন্নত রাখার শক্তি দান করুন। আমীন।

How can your Logo help you stand out in the crowd? There are at least 3 ways a Logo can help your business. A gre...